সোমবার, ৬ জুন, ২০১১

পপসম্রাট ও মুক্তিযোদ্ধা আজম খান আর নেই... (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

পপসম্রাট ও মুক্তিযোদ্ধা আজম খান

রেজাউর রহমান রিজভী

জন্ম ও শৈশব
আজম খানের জন্ম ফেব্রম্নয়ারি ২৮, ১৯৫০। তাঁর পুরো নাম মাহবুবুল হক খান । বাবার নাম আফতাব উদ্দিন আহমেদ ও মা জোবেদা খাতুন। শৈশবে তাঁর পাঁচটি বছর কাটে আজিমপুর কলোনিতে। তাঁর বাবা ছিলেন বাইনাগাছির আজীবন চেয়ারম্যান। সম্রাট সিরাজউদ্দৌলার দরবারের মূল গায়েনের বংশধর ছিলেন তাঁরা। মা ছিলেন সঙ্গীত প্রতিভাধর। দেশীয় এবং ইন্ডিয়ান বাংলা গান অনুশীলন করতেন তিনি। তবে সংসারজীবনে আবদ্ধ থেকে সম্ভব হয়নি গানের ভুবনে তেমন একটা পাড়ি জমাবার। নিজ সনত্মানদের গেয়ে শোনাতেন 'ইন্ডি বিন্ডি সিন্ডি তিনজনে'-এর মতো মনকাড়া মজার গান। বাবা আফতাব উদ্দিন খানও একই বংশধরের। তিনি ব্যক্তিগতভাবে হোমিওপ্যাথির চর্চা করতেন এবং গরিব অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিতেন। মূলত তিনি ছিলেন সরকারী চাকরিজীবী। তিনি ছিলেন সেক্রেটারিয়েট হোম ডিপার্টমেন্টের এডমিনিসট্রেটিভ অফিসার। ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন কলকাতা ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগে গোল্ড মেডেলপ্রাপ্ত মেধাবী ছাত্র। ১৯৫৬ সালে আজিমপুর কলোনি ছেড়ে কমলাপুর জসিমউদ্দিন রোডে নিজস্ব দোতলা ভবনে বসতি স্থাপন করেন। ১৯৫৬ সালের ভাষা আন্দলনের প্রাথমিক পর্যায় প্রত্যক্ষ করেন নিজ চোখে। সে সময় শিশু আজম খান ভীষণ আগ্রহ নিয়ে জানালার শিক ধরে দাঁড়িয়ে দেখতেন লতিফ ভাই গান গাইছেন হার্মোনিয়াম বাজিয়ে 'ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়।' .........১ জুন স্কয়ার হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান রাষ্ট্রপতি মোঃ জিলস্নুর রহমান। সেখানে দু'জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে রেখে চিকিৎসা করা হলেও গত ৪ জুন রাতে আজম খানের শারীরিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি হয়। আর ৫ জুন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আজম খান শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ............

সূত্রঃ এই লেখাটি জনকন্ঠ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ সংবাদটি পড়তে অনলাইন জনকন্ঠে এ ভিসিট করুন। ধন্যবাদ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন